Nojoto: Largest Storytelling Platform

কিছু না বলেই দর্শী এগিয়ে গেল তখন অরুণোদয় আবার ডা

কিছু না বলেই দর্শী এগিয়ে গেল তখন অরুণোদয় আবার ডাকল
--"দর্শী।" দর্শী পিছনে ঘুরে যখন তাকাল ওর দিকে। 
--"আবার দেখা হবে।" অরুণোদয়ের কথা তে হালকা ভাবে মাথা নেড়ে এগিয়ে গেল। 

মনে অনেক কিছু ছিল- "কিছুটা দাড়িয়ে গেলে কি হয়ে যেত। আমাকে ব্যস্ততা দেখাচ্ছে তো, ঠিকাছে। জীবনে আর কোনো কথা বলব না আর না আসব কখনো।" দর্শী ভাবতে ভাবতে রাস্তার ধারে চলে আসল কিন্তু হঠাৎ অরুণোদয়ের জন্য মনে টান দিল। 

ঘুরে দেখল সে ওখানেই দাড়িয়ে। অরুণোদয়ের ইচ্ছা হতো, একবার যাওয়ার আগে দর্শীর হাঁসি মুখটা দেখতে পাক। আজ সেটা পূর্ণ হল। দুজনের মুখে একটা হাঁসি আর তার পর দর্শী রাস্তা পার করে গেল। একটু পরে ওর মোবাইল বেজে উঠল। স্ক্রিনে অরুণোদয় নাম লেখা। দর্শী কিছু বলতে যাবে তার আগেই.. 
--"হ্যালো।" কলের ওপার থেকে একটা অজানা গলা। 
--"কে বলছেন?" দর্শী এক অপরিচিত গলা শুনে আবার মোবাইল দেখল কিন্তু নাম্বার অরুণোদয়ের। 
--"মিস দর্শী কথা বলছেন?"
--"হ্যাঁ বলছি। আপনি কে আর এই ফোন কোথায় পেলেন?"
--"আমি ইন্সপেক্টর সৌমেন কথা বলছি। এই মোবাইলটা একটা এক্সিডেন্ট স্পট থেকে পাওয়া গেছে। একটা বাস ভুল রুট থেকে একটা বাইকে ধাক্কা মেরেছে। ছেলেটার মোবাইল ব্যাগে ছিল বলে আপনাকে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। কিছু মিস কলস ছিল এই নাম্বারে। আর অফিস আই কার্ডের নাম লেখা- অরুণোদয়।"
--"কি উলটো পালটা কথা বলছেন। অরুণোদয় আমার সাথে একটু আগে ছিল আর আপনি এই সব কথা বলছেন?" দর্শীর গলা ভয় আর দুশ্চিন্তায় কেঁপে উঠেছে। 
--"আমাদের কাছে এত সময় নেই ম্যাডাম কি আপনার সাথে কোনো মজা করব। আমি এই নাম্বারে লোকেশন পাঠাচ্ছি। আপনি আসতে পারেন। আইডেন্টিফাই করে নেবেন।" ফোনটা কেটে গেল। অজস্র ভাবনার মধ্যে দিয়ে দর্শীর মন উথাল পাথাল হচ্ছে। পা জড় হয়ে গেছে মাটিতে, নড়তে পারছে না। চোখের কোনো থেকে জল মুছে সে আবার কাকার দোকানে আসল
--"কাকা, ছেলেটা কোন দিকে এগিয়েছে?"
--"কোন ছেলে? তুমি তো একাই দাড়িয়ে ছিলে দিদি।" কথা শুনে দর্শীর পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল। 
--"আপনার সামনে একটা জল জ্যান্ত মানুষের সাথে কথা বলছিলাম। কি বলছেন এই সব?" দর্শী কান্না সামলাতে পারেনি। 
--"দিদি, আপনি হেডফোনে ছিলেন। আমি কি ভাবে জানব আপনি কার সাথে কথা বলছেন।"
--"তাহলে চা কাকে দিয়েছেন যখন দুটো চা চাইলাম।"
--"এই দেখুন, একটা চা রাখাই আছে।" দর্শী দেখল ভাঁড়ে চা এখনো রাখা। ছুটল স্পটের জায়গায় গেল যেখানে পুলিশ একটু জিজ্ঞাসাবাদ করে ভিতরে আসতে দেয়। দর্শী দেখল একটা বডি ঢাকা রয়েছে আর পাসে ভাংগা কাঁচের গুড়ো। একটু দূরে ছেড়া অবস্থায় পরে আছে এক ঝাঁক গোলাপ ফুলের পাপড়ি

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory
কিছু না বলেই দর্শী এগিয়ে গেল তখন অরুণোদয় আবার ডাকল
--"দর্শী।" দর্শী পিছনে ঘুরে যখন তাকাল ওর দিকে। 
--"আবার দেখা হবে।" অরুণোদয়ের কথা তে হালকা ভাবে মাথা নেড়ে এগিয়ে গেল। 

মনে অনেক কিছু ছিল- "কিছুটা দাড়িয়ে গেলে কি হয়ে যেত। আমাকে ব্যস্ততা দেখাচ্ছে তো, ঠিকাছে। জীবনে আর কোনো কথা বলব না আর না আসব কখনো।" দর্শী ভাবতে ভাবতে রাস্তার ধারে চলে আসল কিন্তু হঠাৎ অরুণোদয়ের জন্য মনে টান দিল। 

ঘুরে দেখল সে ওখানেই দাড়িয়ে। অরুণোদয়ের ইচ্ছা হতো, একবার যাওয়ার আগে দর্শীর হাঁসি মুখটা দেখতে পাক। আজ সেটা পূর্ণ হল। দুজনের মুখে একটা হাঁসি আর তার পর দর্শী রাস্তা পার করে গেল। একটু পরে ওর মোবাইল বেজে উঠল। স্ক্রিনে অরুণোদয় নাম লেখা। দর্শী কিছু বলতে যাবে তার আগেই.. 
--"হ্যালো।" কলের ওপার থেকে একটা অজানা গলা। 
--"কে বলছেন?" দর্শী এক অপরিচিত গলা শুনে আবার মোবাইল দেখল কিন্তু নাম্বার অরুণোদয়ের। 
--"মিস দর্শী কথা বলছেন?"
--"হ্যাঁ বলছি। আপনি কে আর এই ফোন কোথায় পেলেন?"
--"আমি ইন্সপেক্টর সৌমেন কথা বলছি। এই মোবাইলটা একটা এক্সিডেন্ট স্পট থেকে পাওয়া গেছে। একটা বাস ভুল রুট থেকে একটা বাইকে ধাক্কা মেরেছে। ছেলেটার মোবাইল ব্যাগে ছিল বলে আপনাকে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। কিছু মিস কলস ছিল এই নাম্বারে। আর অফিস আই কার্ডের নাম লেখা- অরুণোদয়।"
--"কি উলটো পালটা কথা বলছেন। অরুণোদয় আমার সাথে একটু আগে ছিল আর আপনি এই সব কথা বলছেন?" দর্শীর গলা ভয় আর দুশ্চিন্তায় কেঁপে উঠেছে। 
--"আমাদের কাছে এত সময় নেই ম্যাডাম কি আপনার সাথে কোনো মজা করব। আমি এই নাম্বারে লোকেশন পাঠাচ্ছি। আপনি আসতে পারেন। আইডেন্টিফাই করে নেবেন।" ফোনটা কেটে গেল। অজস্র ভাবনার মধ্যে দিয়ে দর্শীর মন উথাল পাথাল হচ্ছে। পা জড় হয়ে গেছে মাটিতে, নড়তে পারছে না। চোখের কোনো থেকে জল মুছে সে আবার কাকার দোকানে আসল
--"কাকা, ছেলেটা কোন দিকে এগিয়েছে?"
--"কোন ছেলে? তুমি তো একাই দাড়িয়ে ছিলে দিদি।" কথা শুনে দর্শীর পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল। 
--"আপনার সামনে একটা জল জ্যান্ত মানুষের সাথে কথা বলছিলাম। কি বলছেন এই সব?" দর্শী কান্না সামলাতে পারেনি। 
--"দিদি, আপনি হেডফোনে ছিলেন। আমি কি ভাবে জানব আপনি কার সাথে কথা বলছেন।"
--"তাহলে চা কাকে দিয়েছেন যখন দুটো চা চাইলাম।"
--"এই দেখুন, একটা চা রাখাই আছে।" দর্শী দেখল ভাঁড়ে চা এখনো রাখা। ছুটল স্পটের জায়গায় গেল যেখানে পুলিশ একটু জিজ্ঞাসাবাদ করে ভিতরে আসতে দেয়। দর্শী দেখল একটা বডি ঢাকা রয়েছে আর পাসে ভাংগা কাঁচের গুড়ো। একটু দূরে ছেড়া অবস্থায় পরে আছে এক ঝাঁক গোলাপ ফুলের পাপড়ি

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory
anantadasgupta7138

Ananta Dasgupta

New Creator
streak icon15