অয়ন কাজ গুটিয়ে বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। হিসাব লাগাচ্ছে কতক্ষন কোন কাজ টা করলে তারাতারি বেড়াতে পারবে। সেই দিনের ঘটনার পর ঈশা চাকরি তো পেয়ে গেছে কিন্তু সেই জায়গায় না যেখানে সে চেয়েছিল। ঈশার ঘর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এর মধ্যেই তাকে অন্য অফিস দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে দুজনের দেখাও হয়েছে। আর তার পর থেকে অয়ন তারাতারি বেড়ানোর জন্য ছটফট করে। প্রায় বেশির ভাগ ও ব্যর্থ হয়েছে নিজের চেষ্টায়। আজও তাই মনে হচ্ছে। অয়ন যদি সময় করেও বেড়ায় তাহলেও অনেক সময় লেগে যায় যেখানে ট্রাফিকের জন্য ও সময় পৌছতে পারে না। তা ছাড়া অয়নের ভিতরে এক অন্য রকম পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে। কাজে কোনো ত্রুটি নেই কিন্তু খুব ক্লান্ত থাকে, সারা দিন না খেয়ে এক জায়গায় বসে থাকে, মাঝের মধ্যে রেস্ট রূমে গিয়ে ১৫ মিনিটের একটা ন্যাপ নিয়ে ন্যায়। খাওয়ার বদলে ওর কাছে একটাই খাদ্য আর সেটা হলো ওর সিগারেট। সবার সাথে কথা বলছে, কিন্তু ও প্রকৃত অর্থে কারোর সাথে নেই, নিজের মধ্যে কোথাও হারিয়ে। সঙ্কল্প অনেক দিন ধরে অয়নের ভিতরে এই নতুন পরিবর্তন লক্ষ্য করে। প্রথমে খুশি ছিল অয়ন কে তারাতারি বাড়ি যেতে দেখে। কিন্তু একদিন যখন জানতে পারে কি অয়ন বাড়ি পৌছায়নি তখন ওর সন্দেহ হয়েছে। "এই আমি এগোলাম। কাল দেখা হচ্ছে। ক্লাইন্ট কে ফাইল টা পাঠিয়ে আমাকে সি.সি তে রাখিস। আমি কালকে রিভিউ করে নেব।" অয়ন এটা বলে সঙ্কল্পের পিঠ চাপড়ে এগিয়ে গেল। ওর ধ্যান তখনও মোবাইলে। ঠিক ১০ মিনিট পরে অয়ন ব্যাগ নিয়ে আবার ফিরে এসেছে। মনে হচ্ছে কিছু হয়েছে, কিন্তু কি সেটা একমাত্র অয়ন জানে। ©Ananta Dasgupta #bengalistory #bengaliquote #bengaliwriting #Emotions #emptiness