আজ সকাল থেকে হালকা জ্বর লাগছিল, মাথা টাও ঘুরছে। মেজাজ খারাপ হয়ে রয়েছে অকারণেই, কিংবা কারনটা হয়তো আমি স্পষ্ট জানিনা। অফিসে দেরি হয়ে গেছে বলে না খেয়েই বেড়িয়ে গেছি। মাঝে এক বার বেড়িয়ে চা আর ধোঁয়া দিয়েই কাজ চালিয়ে নিয়েছি। কিন্তু না মুখে আসছে স্বাদ আর না মাথা যন্ত্রনা কমছে। যা হোক করে নিজের কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। অফিসের এ.সি গায়ের তাপ মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। গা ঘুসঘুসানি শুরু হল। এক কলিগ চোখ দেখে বলল- "কি গো? তোমার চোখ লাল কেন?" আমিও মজা করে বললাম- "আচ্ছা, কেমন লাল? চেরি রেড, ব্লড রেড না রোজ় রেড?" পিঠে মারতে গিয়ে দেখল গায়ে জ্বর। কপালে হাত রেখে বলল- "তোমার তো গা গরম করছে। তুমি এর মধ্যেও মজা করছ? তুমি অফিসে এই ঠান্ডা এ.সির মধ্যে আছো কেন?" ওকে শান্ত করিয়ে বসিয়ে বললাম- "দেখ, প্রথম হলো কাজ পরে রয়েছে আর দ্বিতীয় কোনো পুরোনো পাপ হবে আমার। এখন জ্বর হয়ে বেড়াচ্ছে।" এইবার আমার কথাটা মজার মত ধরেনি। "দেখো, ঠাট্টা কর না। এই ভাবে শরীরের মধ্যে ব্যাধি রেখে কাজ করা যায়না। আমি অফিস বয় কে বলছি তোমাকে ওষুধ দিয়ে দিতে।" ওষুধ কথাটা শুনে আমার শরীরে আরও এলার্জি শুরু হয়ে গেল। "এই দাড়া। সব ওষুধ আমার পোশায় না। আমি বাড়ি গিয়ে ডাক্তর দেখিয়ে নেব।" না চাইতে মিথ্যে বলতে হলো। অফিসের এ.সি তে আরও কাঁপুনি হচ্ছিল। সেটা কাটানোর জন্য বাইরে গেলাম। চা নিয়ে প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরালাম কিন্তু চায়ের কোনো স্বাদ পেলাম না। কিছুই ভালো লাগছে না। টাকা দিয়ে ঘুরতে গিয়ে মনে হল মাথাটা হালকা করে ঘুরে গেল। রিস্ক না নিয়ে বাকি সিগারেট ফেলে দিয়ে আবার ঢুকলাম ভিতরে কিন্তু আমার জিনিস নেই। যখন জিজ্ঞাসা করলাম তখন রঞ্জন বলল- "স্যার, আপনার ব্যাগ আর বাকি যাবতীয় জিনিস পত্র আলপনা ম্যাম নিয়ে গেছে।" যখন গেলাম ওর কাছে দেখি নিজের পার্স আর লাঞ্চবক্স উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। "কি করছিস তুই? আমার জিনিস গুলো এখানে রাখলি কেন?" আলপনা ওরকম কিছু বন্ধুদের মধ্যে পরে যারা জিজ্ঞাসা করার আগেই নিজের হাত বাড়িয়ে দেয়। ©Ananta Dasgupta #nojotobengali #nojotopins #bengalistory