Nojoto: Largest Storytelling Platform

Best bengaliwriter Shayari, Status, Quotes, Stories

Find the Best bengaliwriter Shayari, Status, Quotes from top creators only on Nojoto App. Also find trending photos & videos about love poem for her i miss you in bengali, sad quotes of love in bengali, love quotes for her in bengali, love quotes for him in bengali, love quotes in bengali for girlfriend,

  • 9 Followers
  • 24 Stories

Ananta Dasgupta

বসন্ত কে ব্যস্ত হয়ে যেতে বিনোদিনী কাঁধ থেকে মাথাটা সড়িয়ে নেয়। বসন্ত কিছুটা এগিয়ে গিয়ে কথা বলে কিন্তু বিনোদিনী বুঝতে পারে এটা বসন্ত সাধারণ ভাবে কথা বলছে না। ওর মুখে অন্য একটা ভাব। ফোন রেখে দিয়ে বিনোদিনীর পাসে এসে বসল বসন্ত। 

--"কি হয়েছে?" বিনোদিনী একটু কাছে এগিয়ে জিজ্ঞাসা করল।
--"ঐশানি বলে আমার এক কলিগ। পছন্দ করে আমাকে।" কথাটা শুনে আতকে উঠল বিনোদিনী কিন্তু মুখে কিছু নেই। 
--"আমি স্পষ্ট বলেছি কি আমার সেরকম কোনো ফিলিংস নেই ওর জন্য একটা ভালো বন্ধু ছাড়া। আজ বলেছিল দেখা করতে। আমি কোনো কমিটমেন্ট দেইনি কিন্তু আমার ফেসবুক পোস্ট দেখে আমাকে কল করে দশটা কথা বলছে। ওর এই সন্দেহবাতিক মনোবৃত্তি আমার ভালো লাগে না।"

--"তাহলে তোর কি ভালো লাগে?" বিনোদিনীর কথা শেষ হতে শুরু হলো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। নিজের ঘড়ি আর মোবাইল বিনোদিনী কে দিয়ে বসন্ত চলে গেলে বৃষ্টির মাঝে। বসন্তের আগাগোড়া বৃষ্টি পছন্দ। বিনোদিনীর মানা করাতেও শোনেনি। একটু পরে বিনোদিনী টেনে নিয়ে আসল সিড়ির দিকে।

--"কোনো কথা শুনিস না আমার।" বিনোদিনী সাড়ির আঁচল দিয়ে বসন্তের মাথা আর মুখ মুছিয়ে দিল। বসন্ত যখন নিজের চুল ঝাড়ছে তখন বিনোদিনীর চোখ আটকে গেল বসন্তের শরীর থেকে গড়ানো জলের ওপর। প্রত্যেক জলের বিন্দু জায়গা নিচ্ছে ওর ভিজে যাওয়া শার্টের মধ্যে। বিনোদিনী নিজেকে সংযত করে বসন্ত কে ওর মোবাইল আর ঘড়ি দিয়ে দিল। বিনোদিনী নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা ভেবে বাস স্টপে দাড়ায়। 

--"চল। আবার দেখা হবে।" বিনোদিনী এইটা বলে বসন্ত কে বিদায় দিল। হঠাৎ বসন্তর চোখ পরে একটা লোকের ওপর যে বিনোদিনীর পিছনে উঠল। বিনোদিনী প্রায় অনেকটা ভিজে গেছে আর লোকটার নজর বার বার বিনোদিনীর দিকেই। বসন্ত চলন্ত বসে উঠে গিয়ে বিনোদিনীর পিছনে দাড়িয়ে গেল। 
--"তুই উঠলি কেনো?"

"তোকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে ফিরে যাব।" বসন্তর কন্ঠস্বর গম্ভীর আর এটার কারণ বিনোদিনী বুঝেছে। লোকটার আরেকবার দেখতে বসন্ত ওর দিকেই তাকাল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে। প্রথম বার বসন্ত ঈর্ষা অনুভব করল তবে এটা বন্ধুত্বের নয়। অন্য কিছু। বিনোদিনীর পাশে এসে দাড়াল বসন্ত। বসে যত চোখ বিনোদিনী কে দেখছে, সেই প্রতিটি চোখ আর ওর দিকে তাকায়নি। বিনোদিনী বসন্তের চোখে আজ অন্য এক ছেলে কে দেখছে। বসন্ত বিনোদিনীর পিঠে লাগা জল মুছিয়ে দিয়ে আঁচল টা ওর কোমরে রেখে নিজের দিকে টানল। 

আচমকা এই টানে বিনোদিনী খুব কাছে এসে গিয়ে দাঁড়ায়। বিনোদিনীর একটা হাতে বসন্তর শার্ট ধরে রেখেছে, সামান্য থেকে একটু বেশি জোরে মুঠো করে। বসন্তর নিঃশ্বাস সামান্য নয়। ও এই উথাল পাথালের মাঝে বয়ে যাচ্ছে আর বিনোদিনীর ঘাড়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে বসন্তর সেই অনিয়ন্ত্রিত নিঃশ্বাস। বসের ঠেলায় বসন্ত আরও জোরে ধরে রেখেছে তাকে, হাত কোমরে ঢাকা। সহসা দুজনের চোখাচোখি হল। ঘাম আর জলে বিনোদিনীর চেহারা মেখে গেছে। বসন্ত আস্তে করে ওর চেহারা মুছে দিল। বিনোদিনী চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। বসন্তর হাতের ছোঁয়া ওকে পাগল করে দিচ্ছে। বিনোদিনী আঁকড়ে ধড়ল বসন্ত কে আরও জোরে।

©Ananta Dasgupta #FriendshipDay #anantadasgupta #bengaliwriter #bengalistory

Ananta Dasgupta

--একটা কানের দুল, এক কাপ চা, একটা একটা নুপুর, একটা গল্পের বই আর একটা গোলাপ। 
--"হ্যাঁ রে! তুই জীবনে আজ ওবধি কখনো গোলাপ নিয়েছিস আমার থেকে!"
--"জীবনে আমি ভাবিনি তুই অবুঝ রয়ে যাবি, কিন্তু তুই আছিস তো এখনও।" বিনোদিনীর দিকে একটু কটু ভাবে তাকিয়ে তার পর এগিয়ে পড়ল তারা হাত ধরে কলকাতার ভিজে রাস্তায়। 

হালকা হাওয়া, চকচকে রোদ আর গরম চা আবার ফিরিয়ে নিয়ে এল দুজনকে পুরোনো গল্পের বাজারে। এখন তাদের কাছে আছে ঝুড়ি ঝুড়ি গল্প। সেই গল্পের মাঝখান দিয়ে কেটে গেল অনেকটা সময়। বিনোদিনী কে নিয়ে গেল একটা মলে যেখানে ওর জন্য একটা সাড়ি কিনল। নীল রং বিনোদিনীর প্রিয়। বসন্তের দিকে তাকিয়ে হাসল আর কিছুক্ষণের পর বেড়িয়ে আসল সাড়ি পরে। বসন্ত ভাবল একটা সিটি মারবে কিন্তু বিনোদিনী চোখ বড় করে আগেই বারণ করে দেয়। 

--"কি মাল লাগছে তোকে দেখতে!" বসন্তের কথা শুনে মাথায় টোকা মাড়ল বিনোদিনী। 
--"ইশ! কি ভাষা এইসব, ছোটোলোক।"
--"সরি সরি। মানে সুন্দর লাগছে। একটু স্লিপ হয়ে গেছি।"
--"সেই! সব জানি তোমার স্লিপ হওয়া।" মুখ ভেংচি কেটে বিনোদিনী বেড়িয়ে গেল। বসন্ত সবকিছু কিনল গোলাপ ছাড়া। বিনোদিনী এটা লক্ষ্য করেছে কিন্তু কিছু বলল না। এত দিন ধরে ও নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কে দেখা করার জন্য ডাকছিল কিন্তু সেই ছেলেটা এখন প্রিয় বন্ধু থেকে প্রিয় মানুষ হয়ে গেছে আর সমস্যা এটা কি বিনোদিনী এটা জেনেও নিজের বুকে অনেক কিছু চেপে রেখেছে এত বছর ধরে। 

সমস্ত গল্পের পর দুজনে এসে বসল আহিরীটোলা ঘাটে। ব্যাগ গুলো রেখে বিনোদিনী একবার ঘড়ির দিকে তাকাল। এবার তো ফিরতে হবে। কে জানে পরে কবে দেখা হবে। যদি নাও হয়, কথাও তো সেরকম হবে না।

--"ওই! কোন গভীর চিন্তায় চলে গেলি?" মুখের সামনে তুরি মেরে বসন্ত টেনে আনল বিনোদিনী কে বাস্তবতায়। 
--"না। কিছু না।" 
--"ও আচ্ছা আচ্ছা! তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় চোখের জল মুচ্ছিলিস কেন? সেটাও কি এমনি?" বিনোদিনী অবাক তো হয়েছে কিন্তু প্রকাশ করেনি। নিজেকে চাপা রাখার চেষ্টায় খুব ভালো ভাবে সফল হতে পেরেছে। 
--"ধুর! ওরকম কিছুই না।" বিনোদিনীর উত্তরে পর বসন্ত আর কিছু বলল না। 

বিনোদিনীর মনে হল হয়তো একবার বসন্ত কে বলে দিক। অন্তত এই যুদ্ধ বন্ধ হবে ওর মনের মধ্যে। সে বলতে যাবে তখন বসন্তের কাছে একটা কল এল। মোবাইল স্ক্রিনে নাম দেখাচ্ছে "ঐশানি কলিং"।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #FriendshipDay #bengalistory #bengaliwriter

Ananta Dasgupta

বৃষ্টি হালকা থামল আর বসন্ত এসে দাড়াল বিনোদিনীর সামনে। প্রায় ৫ মাস পর তাদের দেখা। এখন দুজনে তো কলেজে নেই কি দেখা হলেই কাঁধে হাত রেখে ঘুরবে। বিনোদিনী বসন্ত কে দেখে নিজের ভিতরে ওঠা আগ্রহ টা কে চেপে রাখার প্রবল চেষ্টা করছে। অন্তত সফল হতে পেরেছে। 

"তুই কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছিস?" বসন্ত জিজ্ঞাসা করল। 
"এই ধর, আধা ঘন্টা হয়েছে। কেমন আছিস?" বিনোদিনী হালকা গলায় বলল। 
"কেমন আর থাকব। অফিস থেকে ঘর, ঘর থেকে অফিস। ব্যস!" বলতে বলতে বসন্তের নজর পড়ল বিনোদিনীর পায়ের দিকে। ওর পা হাঁটুর নিচ থেকে ভিজে গেছে গাড়ির জল লেগে। 

"এই বোকা! তুই এই ভাবে নিজেকে ভিজিয়েছিস। আর কোনো জায়গা পেলিনা দাড়ানোর জন্য?" বসন্ত চোখ ঘুড়িয়ে দেখল বাজারের মাঝে সব জায়গা তেই জল থই থই করছে। কাচুমাচু মুখ করে আবার তাকাল বিনোদিনীর দিকে। 

"হয়ে গেছে মুআয়না করা?" বিনোদিনী একটা হালকা হাঁসি দিল। "আসলে এখানে দাড়ানোর বেশি জায়গা ছিল না যখন আমি আসি। আর বন্ধুর জন্য না হয় একটু জলে দাড়ালাম।" 

"বাবা! মেয়ে বড় হয়ে গেছে।" বলে মুখটা কাছে নিয়ে গেল বিনোদিনীর কাছে। 
"কি দেখছিস?" বিনোদিনী আশ্চর্য ভাবে তাকিয়ে বলল। 
"বিনোদ, তুই শেভ করে এসছিস না?" বসন্তের এই কথা বলতেই চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়ে দিল বিনোদিনী। 
"বলবি আর?" 
"হ্যাঁ! আরও বলব।" বলতেই আবার এক ঘা পিঠের মধ্যে। 
"উফ। একটা গুন্ডি হয়ে গেছিস। একটাও কিছু কিনে দেব না আজকে।" পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বসন্ত বলল। 
"তোর ঘাড়ে কটা মাথা আছে দেখি!" ব্যাগটা বসন্তের হাতে ধরিয়ে বলল বিনোদিনী। তাদের ভিতরের জমাট এবার পুরোপুরি কেটে গেছে। 
"একটাই আছে রে। তোর মত রাবণ নই আমি।" বসন্ত কে জোরে চিমটি কাটল। 
"ছাড় ছাড়, লাগছে।" প্রায় অনেকটাই মার খাওয়ার পরে বসন্ত বিনোদিনীর হাত ধরে রাস্তা পার করল। বিনোদিনী বন্ধু আর ভালোবাসার ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে ভেসে চলেছে। তার চোখের এক কোনায় জল যেটা বসন্তের তাকানোর আগেই মুছে ফেলে। 

"মা গো। মেরে ফেলল।" বসন্ত বিড়বিড় করে বলল ওর দিকে তাকিয়ে। 
"বেশ করেছি। তোকে লিস্ট পাঠিয়েছি আজকের জন্য।" বিনোদিনী এক গাল হাঁসি নিয়ে বলল। বসন্ত আগেই লিস্ট দেখে নিয়েছিল। একটা কানের দুল, এক কাপ চা, একটা একটা নুপুর, একটা গল্পের বই আর একটা গোলাপ।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #FriendshipDay #bengalistory #bengaliwriter

Ananta Dasgupta

আজ বৃষ্টি থামার নাম নেই। এদিকে বিনোদিনী বসন্ত কে বলে দিয়েছে যে আজ না দেখা করলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আজই হয়ে যাবে। বিধাননগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে বিনোদিনী অপেক্ষা করছে আর ফোনে ঘাঁটছে কিছু পুরোনো স্মৃতি। 

বিনোদিনী আর বসন্ত কলজের সময় থেকে বন্ধু। আজ ওরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ভালো জায়গায় কাজ পেয়েছে। ওদের প্রথম দেখাটা হয়ে ফ্রেন্ডশিপ ডে তেই আর খুব অযুক্তিকর এক ঝগড়া দিয়ে। বোধহয় সেই ঝগড়াই ভিত গড়ে দিয়েছিল তাদের বন্ধুত্বের। আজ ৫ বছর হলো তাদের এই সম্পর্কের। কলেজে দুজনকে কখনো আলাদা দেখাই যেত না। যেখানে বিনোদিনী সেখানেই বসন্ত। সময় কাটতে কাটতে বসন্তের জন্য বিনোদিনী হয়ে গেল বিনোদ আর বসন্ত আসলেই বিনোদিনীর খুব বাজে গলায় একটা গান- "বসন্ত এসে গেছে!"

কিন্তু এই উপনাম গুলো অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। তাহলে সেটাই তার শেষ দিন। দুজনের কথা কম, ঝগড়া, মারপিট, খুনসুটি বেশি হত। দুজনের মতের কোনো মিল নেই, তাও গলায় গলায় বন্ধুত্ব। চায়ের আড্ডা, গল্পের বাজার, বাউণ্ডুলের মত ঘোরা আর একে অপরের পাশাপাশি থাকা। এইটুকুই ছিল দুজনের পৃথিবী। সবাই বুঝে গেছিল ওদের বন্ধুত্বের তিনটে ধাপ। প্রথম, যখন ওরা নিজেকে উপনাম দিয়ে ডাকছে যার মানে সবকিছু বেশ ভালোই চলছে। দ্বিতীয়, যখন ওরা একে অপরকে নিজের নাম ধরে ডাকছে যার মানে দুজনের অভিমান হয়েছে। তৃতীয় আর সবথেকে ভয়াবহ হলো যদি ওরা পরস্পরের নামের আগে মিস্টার বা মিস বলে সম্বোধন করল তাহলে ব্যপার প্রচুর বাজে একটা জায়গায় চলে গেছে। এই তৃতীয় ধাপটা ওদের জীবনে শুধু দুবারই এসেছে। একবার তো বিনোদিনীর মাকে মিল করাতে হলো আর একবার বিনোদিনীর আচমকা পরে যেতে ছুটে দৌড়ে ছিল বসন্ত। 

সেই দিন বিনোদিনী বন্ধু থেকে এক পা এগিয়ে গিয়ে প্রথম বার আলাদা একটা অনুভূতি তে জড়িয়ে ছিল। সে একটা আলাদা আনন্দ, একটা মিষ্টি কান্না। সময় ফুড়িয়ে যায় আর কলেজ শেষ হয়। বিনোদিনী ভেবেছিল এক দিন বসন্ত কে নিজের মনের কথা বলে দেবে কিন্তু বসন্ত কে দেখে ওর কখনো মনেই হয়নি কি সেও এরকম কিছু অনুভব করে কি না। মুখ বুজে বন্ধু রয়ে গেল বিনোদিনী। হয়তো ভয় ছিল, মনের কথা বললে যদি বসন্ত পিছিয়ে যায়। হয়তো সেটা সহ্য করতে পারবে না বিনোদিনী। বসন্ত ছাড়া ওর সেরকম কোনো বন্ধু নেই। আজ নতুন জায়গায় চাকরি পাওয়ার পরে বিনোদিনীর সার্কেল অনেক বড় কিন্তু মনের কথা বলার জন্য মানুষ নেই। বসন্তের সাথেও খুব একটা কথা হয় না ওর। দুজনে আশা রাখে, দুজনেই যেন ভালো থাকুক। কিন্তু ভালোর আশা রাখার থেকে ভালো করে রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

©Ananta Dasgupta #FriendshipDay #bengalistory #anantadasgupta ##bengaliwriter

Ananta Dasgupta

White বিচ্ছেদ মিটিয়ে যখন তুমি এসেছিলে, 
মনের মধ্যে শান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। 
অনেক কথা, অনেক ভালোবাসা নিয়ে, 
আমাদের জীবন জ্যোৎস্নায় ভরেছিল।
একই সময় দাড়িয়ে দেখতাম চাঁদের আলো
একই কথা না জানি কত বার বলতাম, শুনতাম। 
তোমার আসা জীবন দিয়ে গেয়েছিল। 
কিন্তু রাতের চাঁদ দিনের আলোয় টেকেনা। 
চার দিনের সম্বল নিয়ে সারা জীবন কাটানো যায়না। 
আমার আশা আমাকে অন্য রাস্তায় নিয়ে গেছে। 
তোমাকে পাওয়া আর হারিয়ে দেওয়ার মাঝে রেখে গেছে। 
বিশ্বাসের সমুদ্র থেকে কখনো নিজেকে বের করিনি। 
কখনো কোনো মোড়ে তোমাকে অচেনা করার চেষ্টা করিনি। 
যেমন তোমাকে পেয়ে মন আনন্দ উন্মাদ হয়েছিল। 
ঠিক এমনই তোমার জন্য মন চিতকার করেছিল।
সেই জ্যোৎস্না রাত রোজ আসে, প্রশ্ন করে। 
আমি এখন নিঃশব্দ থাকি, জানলা বন্ধ রেখে নিজের ঘরে।

©Ananta Dasgupta #moon_day #Bengali #BengaliPoem #bengaliwriter #bengalistory

Ananta Dasgupta

"যখন এত বড় ক্ষতি সামলে নিয়েছি, তখন এই ছোটোখাটো ক্ষতি তে কিছু হবে না।" এই কথাটা অয়ন ঈশার চোখে চোখ রেখে বলল। ঈশা আর কিছু বলল না। দুজনের মাঝে অদ্ভুত একটা ঝড় বয়ে চলেছে। 

"যাই হোক! তুমি নিজের প্রিয়জনদের সাথে হাঁসি খুশি আছো, দেখে ভালো লাগে। আমিও নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করছি। ভালো লাগলো তুমি নিজে সময় বের করে আসলে আমার সাথে নষ্ট করার জন্য।" অয়ন তৃতীয় সিগারেট ধরিয়ে ফেলল কিন্তু ঈশা ওর মুখ থেকে টেনে ছুড়ে ফেলে দেয় এক দিকে। অয়ন অবাক হয়ে তাকাল। 

"ভালো মুখে বললে শোনো না তাই কিছু করার ছিল না। তোমার সাথে আমি কিছুক্ষণ সময় কাটাতে এসেছিলাম। এই জায়গায় তেই এসেছি যাতে তোমাকে....." ঈশা কিছু বলতে যাবে তখন ওর ফোন বেজে উঠল। প্রায় মিনিট একের পর ওর মুখ থেকে "ঠিক আছে" বেড়াল। 

"সময় হয়ে গেছে।" ঈশা কল কেটে বলল। 

"তোমার নেক্সট রাউন্ড শুরু হয়ে গেছে হয়তো। সাবধানে যাও এন্ড অল দি বেস্ট।" অয়ন বলে এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঈশা কিছু বলতে চাইছিল যেটা ও বুঝতে পারে- "কিছু বলবে?"

"বলতে অনেক কিছু চাই কিন্তু ওর জন্য এটা সঠিক জায়গাও না আর অত সময় নেই। তবে একটাই কথা বলব, তোমাকে এরকম দেখে আমার অস্থির লাগছে।"

"আমি ঠিক আছি। তুমি যাওয়ার পরে যেই ফাঁকটি রয়ে গেছিল, সেটা থেকেই নিজের কিছু অংশ জড় করছি।" অয়ন এগিয়ে যাচ্ছে তখন ঈশা অয়নের হাতটা ধরে। হাতের ওপরে হাতটা রেখে বলল- "ফাঁক তোমার একার জীবনে নেই, সবার আছে কিন্তু..."

"কিন্তু কি? মেনে নিতে হবে? এগিয়ে যেতে হবে? তাই করছি। তোমার কোনো অসুবিধা হবে না, যদিও আমার কিছুও হোক।" ঈশা হাতটা ধরে বুঝলো হাত ঠান্ডা হয়ে আসছে। ওকে ধরে বসাল। হয়তো এটা ঈশাই ছিল বলে অয়নের ওপর জিনিসটা সেরকম ক্ষতি করেনি। অয়নের মুখে হালকা একটা হাঁসি ভেসে ওঠে। 

"একটা কথা জানো তো ঈশা, এই কথা আমি মানছি তোমার। ফাঁক সবার জীবনেই থাকে। তোমার জীবনেও একটা ছোট ফাঁক রয়ে গেল। তোমার পার্টনার তোমাকে ভালো রাখতে পারে, কিন্তু আমার মত যত্ন করতে পারবে না। তোমাকে নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরবে কিন্তু আমার মত অপেক্ষা করতে পারবে না। ভালবাসবে কিন্তু আমার মত ভালবাসতে পারবে না। আর হ্যাঁ, যদি তোমার মনে হয় কি আমি অহংকারে বলছি, তাহলে এটাই ঠিক। আমার আছে অহংকার নিজের ভালোবাসার ওপর।" 

অয়ন একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল। ঈশা আর কিছু বলল না। দুজনের মনের এক অংশ কথাও এখোনো বাইরে আসেনি। দুজনের কাছে একটাই জিনিস কম, সঠিক সময়, সঠিক জায়গা। 

দুজনে একসাথে এগোলো। অয়ন আগে হাঁটছিল। ওর পায়ের গতির সাথে ওর মনের গতি এক ভাবে এগোচ্ছে আর ফুটে উঠছে জল হয়ে। অয়ন একটু থামল যখন চোখে ঝাপসা হয়ে গেছে। জল মুছে ও একবার পিছনে তাকাল দেখতে ঈশা পিছনে আছে কি নেই। এই বার ঈশা ওর দিকেই তাকিয়ে। লিফটে উঠে ও অয়নের পাশে দাঁড়ায় আর হাতটা ধরে। এইবার একটু জোরে আর কানে একটা কথা বলে- "আমি তোমার জন্যই আছি এখানে।" চোখের জল টা মুছে দিয়ে ঈশা বেড়িয়ে গেল।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengaliwriter #Storywriting #absence #incompletelove

Ananta Dasgupta

দিতির কথা শুনে ঈশা অবাক হয়ে অয়নের দিকে তাকাল। কিছুক্ষণের জন্য ও বিশ্বাস করতে পারেনি কি অয়ন বিয়ে করবে। 

"এর কথায় কান দিওনা। দিতি সবাইকে বলে অয়ন ওর বর, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা পালটে যায়।" ঈশার হাঁ হয়ে থাকা মুখটা বন্ধ করার জন্য আর্য আসল কথাটা পরিষ্কার করে বলল। ততক্ষণ অয়ন আর সঙ্কল্প সিগারেট খেতে খেতে কথা বলছে। 

"ও হঠাৎ এখানে?" সঙ্কল্প জিজ্ঞাসা করল

"ইন্টারভিউ আছে আজ। ওর মাঝে দেখা করতে এসেছে।" অয়নের কথার কোনো পাত্তা দিল না সঙ্কল্প। 

প্রায় সিগারেট শেষ হওয়ার মুখে সঙ্কল্প বলল- "আসলে একটা কথা বলব। তুই যতই কষ্টের মধ্যে থাক, যতই ছটপট করিস না কেন! তুই ওকে ছাড়তে পারবি না। যদি ও চলেও যায়। তাই তো!"

"এটা কিন্তু তুইও জানিস কি ওর আমার লাইফে থাকা কি মায়নে রাখে। আমি ওকে আমার মত রেখেছি। ও কি ভাবে রেখেছে, কিংবা রাখেনি, সেটা ওর ব্যপার।" অয়নের কথা শুনে সঙ্কল্প কিছু না বলে চলে গেল। 

অয়নের চেহারার অবস্থা দেখে ঈশা আর কোন কথা বাড়াল না। বরং ও বাকি কলিগদের সাথে গল্প করছে। 

অয়ন একটা সিগারেট ছেড়ে আরেকটা ধরাতে যাবে তখন ঈশা আসল- "তুমি না বললে কি তুমি নেশা কমাচ্ছ। দেখে তো মনে হচ্ছে না।"

অয়ন কিছু না বলে ওর বন্ধুদের দিকে ইশারা করল এগোতে। বিল পেয়মেন্ট করার পর ও ঈশার দিকে ঘুরে বলল- "আমি বলেছি আমার মেডিকেশন চলছিল, এইটা বলিনি কি আমি কমিয়ে দিয়েছি। আর এমনিও, আমার নেশা কমলেও বা কি আর বাড়লেও বা কি? তোমার কি যায় আসে?"

"অনেক কিছু।" ঈশা কথাটা একটু জোরে বলেছে কিন্তু অয়নের এই অধিকার বোধ মনে হল না।

"একটা কথা বলছি। প্রত্যেক মানুষের বেচে থাকার জন্য একটা ডিপেন্ডেন্সি লাগে। আমার ডিপেন্ডেন্সি হল এইটা। আমাকে শান্ত রাখে আর আমি কাজে মন লাগাতে পারি। এমন তো হবে না কি আমি যদি অস্থির হয়ে যাই আর তোমাকে খুঁজি তাহলে তুমি সব ছেড়ে ছুড়ে আমার কাছে এসে যাবে!" অয়ন বলে সিগারেটের শেষ ধোঁয়া আকাশের দিকে উড়িয়ে দিল। 

"আর যদি এসে যাই!" ঈশার কথা শুনে অয়ন ঘুরে ওর দিকে তাকাল। এই বার ওর অধিকার বোধ মনে করল। 

"এই সবে তোমার ক্ষতি হবে, তাই বললাম।" ঈশা প্রত্যেক বারের মত এড়িয়ে গিয়ে অন্য কথা বলল।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #Storywriting #absence #incompletelove #Bengali #bengaliwriter

Ananta Dasgupta

দোষ আমার, আমি বিনা বিচার করে পা দিয়েছি। 
দোষ আমার, আমি বিনা কোন কারণে স্বপ্ন দেখেছি। 
তুমি তো আমার জন্য সেরকম কিছু ভাবনা রাখোনি। 
তাহলে আমি কে হই তোমার জন্য আশা রাখার। 
দোষ আমার, আমি নিজের সংসারে তোমাকে সাজিয়েছি। 
দোষ আমার, আমি হয়তো অন্ত জেনেও তোমার কাছে এগিয়েছি। 
তুমি নিজের জায়গায় ঠিক। তোমার জীবন নির্দিষ্ট এক পথে অগ্রসর হওয়া এক যাত্রা। 
দোষ আমার, আমি নিজের পথ তোমার দিশায় ঘুরিয়ে দিয়েছি। 
তুমি স্পষ্টবাদী মানুষ, মনে কিছু রাখোনা। 
দোষ আমার, আমি তোমাকে নিজের কল্পনায় রেখেছি। 
দোষ আমার, আমি আশার ঘর বানিয়েছি। 
তোমার মুখে আর মনে সবসময় না ছিল। 
দোষ আমার, আমি নিজেকে ভুল বুঝিয়েছি। 
দোষ আমার, আমি নিজের জন্য প্রথম বার কিছু চেয়েছি।

©Ananta Dasgupta #Pinterest #Bengali_poem #bengaliquote #bengaliwriter #anantadasgupta

Ananta Dasgupta

একটা ডায়রি পেলাম, ভাবছি কি লিখবো। 
লিখে ফেলব অফিসের সমস্ত অগোছালো হিসাব
নাকি রেখে দেব পাতা গুলো ফাঁকা সব
নোট করব বসের এক এক জিনিস তারিখে ফেলে, 
যদি ভবিষ্যতে এই কথা যদি কাজেও ফলে! 
নাকি ঘরে নিয়ে আসব, মাসের হিসাবের জন্য, 
খাতায় ভর্তি থাকবে আয় ব্যয়ের অরন্য। 
কাউকে দেওয়া যাবে না, ওখানে যে নাম রয়েছে আমার
বাচ্চা নেই যাকে দিলে বানাতে পাড়বে নিজের আঁকার সংসার
তাহলে কি নিজে ব্যবহার করব? 
নিজের জন্য কিছু লিখবো? 
লিখবো সমস্ত কথা যা গোপন আছে কোন গভীর অন্ধকারে
লিখবো কত জায়গায় না গিয়েও কি ভাবে ঘোরা যায়। 
জানা অজানা কিছু অভিজ্ঞতা, জানা অজানা কিছু ভুল। 
লিখবো পাশ থেকে গিয়েও না নেয়া সেই গোলাপ ফুল। 
এই ভাবে লিখলে তো খাতা ভরে যাবে যে, 
আমার কল্পনা আর আশার ভাড় নিতে পারবে না সে। 
বরঞ্চ এটাকে আপাতত রাখি এমনি, প্যাক করা। 
এখনও যে বাকি আছে আবার ভাংগা, আবার গড়া।

©Ananta Dasgupta #Pinterest #anantadasgupta #Bengali_poem #bengaliwriter

Chanchal Jati

wishing you শুভ দোলযাত্রা | Happy Holi #happyholi #happyholi #bengaliwriter #nojotobangla #News

read more
loader
Home
Explore
Events
Notification
Profile