Nojoto: Largest Storytelling Platform

Best anantadasgupta Shayari, Status, Quotes, Stories

Find the Best anantadasgupta Shayari, Status, Quotes from top creators only on Gokahani App. Also find trending photos & videos aboutthe passionate shepherd to his love poem analysis, the garden of love poem analysis, love turned to hatred poem analysis, love shayari mujhe kabhi tadpana nahi na karna sms, love poem by pablo neruda analysis,

  • 1 Followers
  • 313 Stories

Ananta Dasgupta

Do waqt uske samne matha tekta hu, 
Baki apni zindagi ko uske sahare chor deta hu.
Jo khush raha to hasi me usko pa liya, 
Jo akela hua to usko yaad kar leta hu.
Koi guzarti hawa ho ya suraj ki dhoop
In ehsaso me usko pehchanne ki koshish karta hu.

Main pujta hu usko har aati jati saans me,
Main sochta hu usko apni bechaini, apne ardaas me.
Na bel patr, na ful, na chandan, na doodh hai mere paas.
Main chadhawa chadhata hu usko apne aasu, apni aas me.
Mere har karam ka gawah wohi hai,
Main kisi bhi haal me rahu, har haal uspe chor deta hu.

©Ananta Dasgupta #shivaay #omnamahshivaya #anantadasgupta

Ananta Dasgupta

🔱
बेमानी है अगर मैं कहूँ सब कर सकता हूँ मैं, 
सिर्फ बेजान पत्थर हूँ, ठोकरें खा सकता हूँ मैं।
झूठ का नकाब है, सच कहीं अंदर दबा हुआ है।
सवाल‌ों की भीड़ इतनी है कि जवाब कहीं ठहरा हुआ है।
एक तुम्हारी तरफ का रास्ता साफ दिखता है
और कहीं कुछ भी नहीं दिखता।
कुरेदा गया है इतनी जगह से कि
समझ नहीं आता कौन सा घाव है रिसता।
इतना करम‌ कर दो कि मैं डूब जाऊँ या तर जाऊँ।
या तो एक नई ज़िंदगी दिखे या वापस पत्थर बन जाऊँ।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #shivquotes

Ananta Dasgupta

আয়না প্রত্যেক দিনের মত তৈরি হয়েছে অফিসের জন্য কিন্তু তার মন লেগে আছে মোবাইলের দিকে। কারোর অপেক্ষায় বোধহয়। কিন্তু সমস্যা এইটা কি নিজের ব্যাকুলতা কাউকে বলতে পারবে না সে। সমস্যার একটা খুব সুন্দর নাম রেখেছিল হিমানী- "আমার অসহ্য"

ছেলেটার সাথে তার পরিচয় হয় কয়েক মাস আগে। হিমানী যে ফ্লোরে কাজ করে তার দুটো ফ্লোর পরেই ছেলেটার অফিস। প্রায় লিফটে দেখা হতো। দেখা পরিনত হয় কথা বার্তায় আর তারপর বন্ধুত্ব। অদ্ভুত এক বন্ধু। আয়নার জীবনে এসে সবকিছু যেন হঠাৎ করে পালটে দিল। আয়না আর ও প্রায় অনেকটা একে অপরের ব্যপারে জেনে গেছিল। ছেলেটা ওকে যত জালাত তত মনে হয় হিমানীর সারা জীবনে কেউ করেনি। কিন্তু ছেলেটার কোনো কথা ফেলত না সে। একদিকে তো দিব্যি সব ভালো চলছে ওর সাথে কিন্তু আরেক দিকে একটা ভয়। যে আয়নার জীবনে আসে সে তাকে ঠিক সেই সময় ছেড়ে চলে যায় যখন আয়নার সেই মানুষটাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

এই কথাটা ছেলেটি জানত কিন্তু আয়নার মধ্যে থেকে সে এই এত বছরের চাপা ভয় কি ভাবে বের করবে বুঝতে পারত না। এইদিকে আয়না ও হুটহাট করে ছেলেটার ওপরে রেগে গিয়ে অনেক ভুলভাল কথা শুনিয়ে দিত কিন্তু অদ্ভুত ভাবে ছেলেটা অভিমান করলেও আয়নার হাত ছাড়েনি। কিছু মাস পর ছেলেটা বুঝতে পারে সে আয়না কে পছন্দ করে। ঠিক ততটাই যতটা একটা মানুষের মনের মধ্যে জায়গা থাকা দরকার। প্রথমে ছেলেটা মানতে চায়নি কেননা এত কম সময়ের মধ্যে এত একটা গভীর অনুভূতি হওয়া খুব অযুক্তিকর একটা কথা। কিন্তু এই অযুক্তিকর ব্যপারটা ছেলেটার সাথে ঘটে। 

আয়না এইটা জানত না কিন্তু সে যেই জিনিস গুলি অনুভব করত সেটা কখনও করেনি। আয়না প্রায় ছেলেটার হাত ধরে অফিসের গার্ডেন এরিয়া তে ঘুরত। যেহেতু রাতের সময় সেখানে কেউ যায়না তো ওরা ওখানেই অনেকক্ষণ আড্ডা দিত। ছেলেটার হাত রাখতেই আয়না একটু অন্য রকম অনুভব করত। একদিন কথা বলতে বলতে প্রায় কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে দেয়, আলাদা একটা শান্তি। তা ছাড়া ছেলেটার সাথে কথা বলার একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। একদিন ছেলেটা এই কথাটা আয়না কে জানায় তখন আয়না কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলে

--"বুঝলাম বেদান্ত কিন্তু তুমি সবটাই জানো এইজন্য এই সব ভেব না।" বেদান্ত তারপর আর কখনও কথাটা তোলেনি কিন্তু ওর মনে হতো হয়তো আয়না ইচ্ছা করে কিছু চেপে রেখেছে যেটা বাইরে আসা খুব দরকার না হলে আয়না মধ্যে গুমরে থাকবে। একদিন হঠাৎ আয়না দেখে বেদান্ত তার সামনে থেকে অন্য এক মেয়ের সাথে বেড়িয়ে গেল। জিনিসটা বেদান্ত ইচ্ছাকৃত করেনি কিন্তু আয়নার খারাপ লেগেছে।

©Ananta Dasgupta #bengalistory #FiveMinutes #anantadasgupta

Ananta Dasgupta

🔱

न मृत्यु का भय मुझे, 
ना किसी अनर्थ की चिंता है। 
समा चुका हूँ भीतर सबकुछ, 
अब समस्या भी शून्यता है। 

जिन्हें जाना हो वह अवश्य जाएंगे, 
निश्चय सबका अटल है। 
चाहे प्रेम से हो या याचना से,
रोकने के प्रयास विफल है।

जलते हुए, सहते हुए, सबकुछ है माना, 
अब हठ है इस अग्नि को हवन बनाना।
मेरे आँसुओं से नित्य अब तुम्हारा स्नान होगा।
मेरे भस्म से तुम्हारी आरती होगी जब मेरा दहन होगा।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #Shiv #Monday

Ananta Dasgupta

ক্লাইন্ট কে মেল করার পড়ে রিপ্লাই আসল কিছু জিনিস আলোচনা করার জন্য ক্লাইন্ট ভি.সি করতে চায়। অরিন্দমের মন এবার ছটফট করছে কিন্তু বারন করার কোনো জায়গা নেই। মিটিং শুরু হওয়ার আগে প্রিশা কে কল করল
--"শোনো। আমার একটা মিটিং পড়ে গেছে হঠাৎ। আমার দেরি হয়ে যাবে। তুমি চলে যাও।"
--"ঠিকাছে! আমি আছি। তুমি শেষ করে এসো।"
--"কেন জেদ করছ? কেন অকারণে আমার জন্য ৩:৩০ ঘন্টা ধরে দাড়িয়ে আছো?"
--"কিছু জিনিস অকারণে হয়ে। আমি যাচ্ছি না।" 
অরিন্দম মাঝখানে মিটিংয়ে ঢুকে পড়ল। সবকিছু শেষ করতে গিয়ে ঘড়ি তে দেখল প্রায় ৬:৫৮ আর শুরু হল তুমুল জোরে বৃষ্টি। বাইরের অবস্থা দেখে অরিন্দমের চিন্তা আরও বেড়ে গেল। যখন কল করল তখন অন্য কলে ব্যস্ত পেল কিন্তু কিছু লেখার আগেই একটা মেসেজ এসে পড়ল অরিন্দমের কাছে। 
--"আমি বৃষ্টি তে ভিজিনি। আমাকে যাওয়া নিয়ে কিছু বলবে না। আর এমনিও, আমি যেতে পারবো না এখন। আমি আছি।"

অরিন্দম কাজ শেষ করবে ঠিক তখনই ওর একটা কলিগ এসে বলল
--"শোনো না। তোমাকে একটা ছোট্ট কাজ দিচ্ছি। আমাকে বাড়ি যেতে হবে না হলে বাস পাবনা। এটা একটু করে দেবে প্লিজ়?" অরিন্দম আর না বলতে পাড়ল না। কাজ শেষ করে দেখল বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে আর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল ৮:১০ হয়ে গেছে। ছুটলো চায়ের দোকানের দিকে। দেখল প্রিশা একাই বসে। অরিন্দম কে দেখে প্রিশা এক অদ্ভুত মিষ্টি হাঁসি দিল।
 
--"আমার খিদে পেয়েছে। তুমি আমাকে ফুচকা আর কোল্ড ড্রিংকস খাওয়াও।" অরিন্দম একটু হেঁসে ওর আবদার গুলো পুরো করল আর এর মাঝে প্রিশা সারাদিনের নিজের সমস্ত গল্প বলল। রাত আর বৃষ্টির জন্য বাস হঠাৎ করে কমে গেল। বেশি রাত হতে দেখে অরিন্দম একটা ক্যাব বুক করল আর প্রিশা কে তুলে দিল। লোকেশন দেখার জন্য ম্যাপ অন রাখল নিজের মোবাইলে। কিন্তু কিছুক্ষণ কথা বলার জন্য একটা মেয়ে ৬ ঘন্টা অপেক্ষা করল, এইটা ভেবে অরিন্দম অবাক। খালি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে অরিন্দম দেখল প্রিশা কল করছে। 
--"সাবধানে যেও। বাড়ি পৌঁছে জানিও। আর ততক্ষণ কলে থাকো।"
--"আহ! কতটা খেয়াল রাখে আমার!"
--"যত দিন বেঁচে আছি, ততদিন খেয়াল রাখবো।" শেষ কথাটা শুনে অরিন্দম থেমে গেল। এরকম কথা ওর মনে গেঁথে আছে। অন্য একজনের বলা, অনেক আগে। 

"যত দিন বেঁচে আছি, আমি তোমাকে হারিয়ে যেতে দেব না।" সেই পুরোনো কথাটা মনে পড়ে গেল অরিন্দমের। মনে হল কিছু চাপ পড়েছে ভিতরে। ওদিকে প্রিশা হ্যালো.. হ্যালো করে যাচ্ছে। 
--"হ্যাঁ বলো।"
--"কোথায় ছিলে?"
--"না না! কিছু না। তুমি বলো।"
--"আগে বলো, কি ভাবছিলে?"
--"ভাবছিলাম না। তোমাকে একটা কথা বলতে পারি?"
--"হ্যাঁ।"
--"তুমি এত সহজ ভাবে এত বড় কথা যে বলল, সেটা করা এত সোজা নয়। এরকম অঙ্গীকারের মুখোমুখি আগেও হয়েছি কিন্তু সারা জীবনের কথা দেওয়া আর সেটা রাখার তফাৎ আমি জানি।"

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #story #part2

Ananta Dasgupta

অরিন্দম অফিসে ঢুকতেই ওর মাথার ওপর কাজ চাপিয়ে দেওয়া হল। ক্লাইন্টৈর ডেডলাইনের বাহানা লাগিয়ে মেল করে দিল কি আজকের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট লাগবে। অরিন্দম কাজ করে দেয় কিন্তু অহেতুক কিছু জিনিস ওর সহ্য না। ওর টিমের সমস্ত এল1 দের ডাকল ওদের পুরো সপ্তাহের কাজের জন্য। সবার শেষে ডাক পড়ল প্রিশা। প্রিশা গত সপ্তাহে কোনো কাজ করে উঠতে পারেনি আর অরিন্দম এর জন্য কথা শুনেছে। প্রিশা কে কেবিনে ডেকে অনেকক্ষন বোঝাল কিন্তু একটু কড়া করে। 

প্রিশা চলে যেতে কাজ নিয়ে বসল অরিন্দম। কাজের মাঝে কখন লাঞ্চ হয়ে গেছে ওর কোনো টের নেই। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে আর দেখে প্রিশা কল করছে। 

--"বল! কিছু লাগবে তোমার?"
--"ঘড়ি তে কটা বাজে দেখেছ?" 
অরিন্দম দেখল প্রায় খাওয়ার সময় পেড়িয়ে গেছে কিন্তু প্রিশা কে বললে আবার দশটা কথা হবে তো কিছু কথা বাড়াল না। 
--"আমি খেয়ে নেব। তুমিও খেয়ে নাও।"
--"আমার খাওয়া হয়ে গেছে। আমি কল করেছিলাম কেননা আমাদের কে আজকে হাফ ডে দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তুমি সেই যে কেবিনে ঢুকেছ, আর বেড়াওনি। মেসেজ করলাম কিন্তু কোনো কথা নেই।"
--"বাহ! বেশ ভালো। যাও বাড়ি গিয়ে রেস্ট নাও।"
--"আমি বলেছি তোমাকে আমি বাড়ি যাচ্ছি? আমি আমাদের চায়ের ঠেকে যাব। তোমার ছুটি হলে বল।" 

অরিন্দম কথা শুনে অবাক হয়ে গেল। অকারণে একটা মেয়ে ৪-৫ ঘন্টা অপেক্ষা করবে এইটা ওর ভালো লাগেনি। 
--"প্রিশা আমার এক গাদা কাজ পরে আছে। যদি খুব তাড়াতাড়ি করি তবুও এখনও ৪:৩০ ঘন্টা বাকি। তুমি বাড়ি চলে যাও।"
--"আমি তোমাকে রিকুয়েস্ট করছি না। জানাচ্ছি। আমি আছি।" প্রিশা বলে ফোন রেখে দিল। 
--"কি করবে অপেক্ষা করে তুমি এতক্ষণ? তাও আবার এই রোদে সারাদিন ওই টিনের চালের নিচে! তুমি ওরকম থাকলে আমার আরও টেনশন হবে।" অরিন্দম মেসেজ করে বলল। 
--"আমি অপেক্ষা করব সেটা আমার ব্যপার। তুমি চিন্তা করছ কেন? তুমি কাজ শেষ করে বেড়াও। আর হ্যাঁ, আমি তোমাকে জালাব না আজকে। কিন্তু আমি আছি। এখানেই।"

জেদ দেখে অরিন্দম বেশি কিছু বলল না। আবার কাজের ভিতরে ঢুকে পড়ল। কাজের মধ্যে তিন বার নানান কারণে ওকে এদিক ওদিক থেকে লোকেরা ডেকে নয় কথাও নিয়ে যাচ্ছে আর নয় গল্প দিচ্ছে। অরিন্দম সময়ের হিসাব লাগিয়ে যাচ্ছে আর প্রত্যেক বার ওর যাওয়ার মেয়াদ বেড়েই যাচ্ছে। ২ ঘন্টা পেরোতে একবার মেসেজ করল প্রিশা কে
--"প্লিজ় প্রিশা। এই ভাবে বসে থেকো না। বাড়ি যাও।"
--"আমি আছি। ব্যস!"

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory #Firstpart

Ananta Dasgupta

White हर दिन के जैसे आदेश घर में आया और बिना कोई आवाज़ किए अपने कमरे में चला गया। बैग रखके उसने जेब से रुद्राक्ष निकाला और अपनी माँ के हाथ में देकर कहा

--"माँ, ये पूजा घर में रख देना।"
--"लेकिन तुझे ये रुद्राक्ष दिया किसने?"
--"वो रास्ते में पानी था तो एक आदमी ने मेरी मदद की। बाद‌ में उसी ने दिया।" आदेश ने सिर्फ इतना ही कहा। शायद इतना कहना ही लाज़मी था क्योंकि जो वो महसूस कर रहा था वो सिर्फ वही जान रहा था। बेटा होने के नाते अपने आँसू घरवालों को नहीं दिखा सकता। अगर उसके माँ-बाप ने उसके आँसू का एक कतरा भी देख लिया तो उन्हें जो तकलीफ होगी वो आदेश बर्दाश्त नहीं कर पाएगा। किसी को आँसू न दिखे इसलिए सर झुकाकर उसने अपने चेहरे पर पानी की छींटे मारी पर जैसे ही मुड़ा उसके पिता ने उससे पूछा

--"तेरी आँखें इतनी लाल‌ क्यों है? क्या हुआ है?"
--"बारिश में बहुत देर तक भीगनें से हो गई होगी।" गले को थोड़ा भारी रखकर उसने कहा और पूजा घर में चला गया। घुटने टेककर उसने एकटक शिवलिंग की तरफ देखा पर आँखे भर आने की वजह से वापस धुंधला सा हो गया। आदेश अपना भार नहीं उठा पा रहा था। खाने का तो मन नहीं था पर कोशिश करके खाने के जैसे ही निवाला निगला, उसे उल्टी हो गई। उसकी माँ भागते हुए उसके पास गई और पूछा

--"क्या हुआ बेटा? तबीयत खराब हो रही है?" आदेश के हाथ पैर काँप रहे थे। शरीर और दिल दोनों कमज़ोर थे और क्योंकि वो ये बता भी नहीं पा रहा था इसीलिए वो बात और खाए जा रही थी उसे। 

--"आपलोग सो जाओ। मुझे ऑफिस का कुछ काम है तो मुझे देर होगी।"
--"तुझे जो करना है कल‌‌ करना। एक तो बारिश में भींग के आया है और अब देर रात तक जगकर अपनी तबीयत और बिगाड़ेगा।" आदेश के पिता ने जवाब दिया। बात सही थी पर लहज़ा गलत। आदेश ने पलभर उनको देखा और काम पर बैठ गया। थोड़ी देर के बाद सब सो गए और अब रात धीरे धीरे गहरी होने लगी। आदेश चुप था लेकिन अंदर एक तूफ़ान था जो कभी भी बाहर आ सकता था। अचानक लैपटॉप पर रखी हुई दिप्ति की एक तस्वीर पर माउस का बटन दब गया। २ साल पुरानी तस्वीर जहाँ दोनों साथ बैठे थे। एक झटके में आदेश ने लैपटॉप बन्द करके घर को अंधेरा कर लिया। 

उसका दर्द उसको निगलते जा रहा था। साँस लेने में तकलीफ होने लगी। एक वक्त रुककर उसने अपने खाली घर को चारों तरफ से देखा। उसका हर एक सपना कहीं न कहीं बिखरा पड़ा हुआ था। थककर घुटने के बल वो गिर गया और फिर उसका सारा सैलाब बाहर आ गया। आदेश के दिल-ओ-दिमाग में न जाने कितनी यादों का तूफान एक साथ चलने लगा। सिसकियों की आवाज़ बहुत दूर तक न जाए इसलिए उसने अपने मुंह दबोचे रखा पर आँसू नहीं रोक पाया। वो चीखना चाहता था अपनी किस्मत पर लेकिन मजबूर होकर सिर्फ रोता रहा। उसका शरीर अब जवाब दे रहा था। अपने आप को संभालने के लिए उसने अपने हाथों का सहारा लिया लेकिन अचानक उसका हाथ एक चीज़ को छूते ही रुक गया। अंधेरे में उस चीज को टटोलने के बाद वो समझ गया कि ये रुद्राक्ष है।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #shivaay #part2

Ananta Dasgupta

আদেশ ঘরে ঢুকল আর প্রত্যেক দিনের মত ও কোনো সারা শব্দ না করে ব্যাগ রেখে নিজের রুমে চলে আসল। বুক পকেট থেকে রুদ্রাক্ষ বের করে মায়ের কাছে গেল আর বলল। 

--"মা, এইটা ঠাকুরের সামনে রেখে দাও।"
--"কিন্তু তোকে কে দিল রুদ্রাক্ষ?"
--"রাস্তায় জল ছিল বলে একটা লোক ছেড়ে দিয়ে গেল। সেই দিয়েছে।" বাকি বৃত্তান্ত আর বলল না। ভিতরে ও যে ভাবে ছটফট করছে সেটা একমাত্র ওই জানত। আদেশ ভয় পাচ্ছে যদি ওর চোখের এক ফোটা জল ওর বাবা মা দেখে তাহলে ওদের মনে কষ্ট হবে। ছেলে হিসাবে আদেশ করতে পারবে না সেটা। মাথা নিচু করে নিজের চোখে জল দিল তখন চোখে লাল দেখে ওর বাবা জিজ্ঞাসা করে। 

--"হ্যাঁ রে! তোর চোখ এত লাল কেন?"
--"বৃষ্টি তে ভিজেছি তাই হয়তো।" একটু ভারিক্কি গলায় বলল আদেশ। আদেশ প্রনাম করতে গিয়ে ঠাকুর স্থানের শিবলিঙ্গ কে ভালো করে দেখল কিন্তু চোখে জল আসতে আবার ঝাপসা হয়ে গেল। আদেশ নিজেকে চাপা রাখতে পারছে না। খুব কষ্ট করে উঠল আর খাওয়ার চেষ্টা করল কিন্তু দু গাল খাওয়ার পড়েই বমি করে ফেলল।
 
--"কি হয়েছে? শরীর খারাপ করছে বাবা?" আদেশের মা থালা রেখে ছুটে আসল। ওর হাত পা কাঁপছে, শরীর দুর্বল আর মনে এক পাহাড় সমান কষ্ট। যেহেতু বলতে পারবে না, তাই আরও ভেঙে পড়ছে। 

--"তোমরা শুয়ে পড়। আমার কাজ আছে অফিসের।" 
--"তোর যা করার কালকে করবি। এই ভাবে ভিজে, তার পর রাত জেগে শরীরে আবার অসুখ বাঁধাবে।" আদেশের বাবা কথাটা খুব রুঢ় ভাবে বলতে আদেশ তাকাল কিন্তু কিছু বলল না। ল্যাপটপ খুলে কাজে বসে পড়ল। কিছুক্ষণ পরে সবাই শুয়ে পড়ল। রাত বাড়তে বাড়তে বেড়ে যাচ্ছে আদেশের ঝড়। হঠাৎ করে দিপ্তির একটা ছবি তে ক্লিক হয়ে গেল, দুজনে পাশাপাশি বসে। তারাতারি বন্ধ করে ল্যাপটপ সাইড করে আদেশ লাইট বন্ধ করে দিল।

ওর শ্বাস কষ্ট বেড়েই চলেছে। নিজের চারপাশের অন্ধকার কে ভালো করে দেখল। আর যেন ঝড় আটকাতে পারেনি, হাঁটু গেড়ে জড় হয়ে নিজের শরীর ফেলে দিয়ে অন্ধকারে কাঁদছে আদেশ। মনের ভিতরে সমস্ত স্মৃতি উথাল পাথাল খাচ্ছে কিন্তু ওর ব্যথা কমছে না। মাঝখানে একবার কুঁকিয়ে উঠল কিন্তু ভয় মুখে হাত চাপা দিয়ে দিল যাতে কেউ সারা না পায়ে। আদেশের শরীর ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে যাচ্ছিল। নিজের ভার সামলানোর জন্য যখন আদেশ হাত পিছনে রাখে, তখন হাতে কিছু পড়ল। আদেশ ধরে বুঝতে পাড়ল রুদ্রাক্ষ টা ওখানে।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #shivaay #bengalistory #part2

Ananta Dasgupta

হে গঙ্গা! 
বয়ে চলেছ তুমি শহরের পাস থেকে, শুধু বয়ে যাচ্ছ। কেন?
কেউ রক্তে লাল হচ্ছে আর হাঁসছে পাশবিকতা, তুমি বয়ে যাচ্ছ। কেন?
তোমার সামনে আগুনে দাহ করা হল, ভাসিয়ে দেয়া হল তোমার কোলে।
তুমি নিরবে ধারণ করে নিলে সেই অস্থি আর বয়ে চলেছ। কেন?
তুমি দেহ শুদ্ধ করলে কিন্তু সেই দেহ কারণ হল অপবিত্রতার।
ওই অপবিত্রতার তুমি দেখলে নিরবে, তুমি বয়ে যাচ্ছ। কেন?
আজ তোমার কিনারা ধরে পথে নেমেছে অনেক রাগ, অনেক প্রশ্ন।
তুমি সবকিছু জেনে আসলে না, তুমি বয়ে যাচ্ছ। কেন?

হুঙ্কার দাও নিজের স্রোতের, ভেঙে দাও সমস্ত ব্যবধান।
এই অন্যায়ের জন্য তুমি শুরু কর যুদ্ধের অভিযান।
ডুবিয়ে দম বন্ধ কর তাদের যারা অন্যায়ের সাথে দাঁড়িয়ে।
অ্যাসিডে বদলাও নিজেকে, দাও হাড় অবধি জ্বালিয়ে।
যদি বইতে তাহলে প্রলয়ের মত করে এবার বয়ে যাও।
রুদ্র রুপ ধর নিজের, ছিন্ন ভিন্ন করে এগিয়ে যাও।
আশা হারিয়ে যাচ্ছে দেবী, বিচার এবার শাস্তি দাও।
নিজের হাতে বিচার নিয়ে তুমি তিলোত্তমা কে শান্তি দাও।

©Ananta Dasgupta #nojotopic #kolkatacase #JusticeAndRevenge #RGkar #revolution #anantadasgupta #Bengali_poem #bengaliquote

Ananta Dasgupta

কিছু না বলেই দর্শী এগিয়ে গেল তখন অরুণোদয় আবার ডাকল
--"দর্শী।" দর্শী পিছনে ঘুরে যখন তাকাল ওর দিকে। 
--"আবার দেখা হবে।" অরুণোদয়ের কথা তে হালকা ভাবে মাথা নেড়ে এগিয়ে গেল। 

মনে অনেক কিছু ছিল- "কিছুটা দাড়িয়ে গেলে কি হয়ে যেত। আমাকে ব্যস্ততা দেখাচ্ছে তো, ঠিকাছে। জীবনে আর কোনো কথা বলব না আর না আসব কখনো।" দর্শী ভাবতে ভাবতে রাস্তার ধারে চলে আসল কিন্তু হঠাৎ অরুণোদয়ের জন্য মনে টান দিল। 

ঘুরে দেখল সে ওখানেই দাড়িয়ে। অরুণোদয়ের ইচ্ছা হতো, একবার যাওয়ার আগে দর্শীর হাঁসি মুখটা দেখতে পাক। আজ সেটা পূর্ণ হল। দুজনের মুখে একটা হাঁসি আর তার পর দর্শী রাস্তা পার করে গেল। একটু পরে ওর মোবাইল বেজে উঠল। স্ক্রিনে অরুণোদয় নাম লেখা। দর্শী কিছু বলতে যাবে তার আগেই.. 
--"হ্যালো।" কলের ওপার থেকে একটা অজানা গলা। 
--"কে বলছেন?" দর্শী এক অপরিচিত গলা শুনে আবার মোবাইল দেখল কিন্তু নাম্বার অরুণোদয়ের। 
--"মিস দর্শী কথা বলছেন?"
--"হ্যাঁ বলছি। আপনি কে আর এই ফোন কোথায় পেলেন?"
--"আমি ইন্সপেক্টর সৌমেন কথা বলছি। এই মোবাইলটা একটা এক্সিডেন্ট স্পট থেকে পাওয়া গেছে। একটা বাস ভুল রুট থেকে একটা বাইকে ধাক্কা মেরেছে। ছেলেটার মোবাইল ব্যাগে ছিল বলে আপনাকে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। কিছু মিস কলস ছিল এই নাম্বারে। আর অফিস আই কার্ডের নাম লেখা- অরুণোদয়।"
--"কি উলটো পালটা কথা বলছেন। অরুণোদয় আমার সাথে একটু আগে ছিল আর আপনি এই সব কথা বলছেন?" দর্শীর গলা ভয় আর দুশ্চিন্তায় কেঁপে উঠেছে। 
--"আমাদের কাছে এত সময় নেই ম্যাডাম কি আপনার সাথে কোনো মজা করব। আমি এই নাম্বারে লোকেশন পাঠাচ্ছি। আপনি আসতে পারেন। আইডেন্টিফাই করে নেবেন।" ফোনটা কেটে গেল। অজস্র ভাবনার মধ্যে দিয়ে দর্শীর মন উথাল পাথাল হচ্ছে। পা জড় হয়ে গেছে মাটিতে, নড়তে পারছে না। চোখের কোনো থেকে জল মুছে সে আবার কাকার দোকানে আসল
--"কাকা, ছেলেটা কোন দিকে এগিয়েছে?"
--"কোন ছেলে? তুমি তো একাই দাড়িয়ে ছিলে দিদি।" কথা শুনে দর্শীর পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল। 
--"আপনার সামনে একটা জল জ্যান্ত মানুষের সাথে কথা বলছিলাম। কি বলছেন এই সব?" দর্শী কান্না সামলাতে পারেনি। 
--"দিদি, আপনি হেডফোনে ছিলেন। আমি কি ভাবে জানব আপনি কার সাথে কথা বলছেন।"
--"তাহলে চা কাকে দিয়েছেন যখন দুটো চা চাইলাম।"
--"এই দেখুন, একটা চা রাখাই আছে।" দর্শী দেখল ভাঁড়ে চা এখনো রাখা। ছুটল স্পটের জায়গায় গেল যেখানে পুলিশ একটু জিজ্ঞাসাবাদ করে ভিতরে আসতে দেয়। দর্শী দেখল একটা বডি ঢাকা রয়েছে আর পাসে ভাংগা কাঁচের গুড়ো। একটু দূরে ছেড়া অবস্থায় পরে আছে এক ঝাঁক গোলাপ ফুলের পাপড়ি

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory
loader
Home
Explore
Events
Notification
Profile